মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে অতীব জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার অংশ হিসেবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি ও থিম সং প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
নির্দেশনাটির মূল বিষয়বস্তু
মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং-এর পরিচালক কাজী মো. আবু কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সপ্তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কী করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে?
-
মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি ও থিম সং প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
-
এ সংক্রান্ত তথ্য নির্ধারিত গুগল ডক লিংকে জমা দিতে হবে।
-
তথ্য জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: আগামী বুধবার (২৩ জুলাই)।
মাদকবিরোধী এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য
-
মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
-
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মাদকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয়
-
মাদকবিরোধী ডকুমেন্টারি ও গান সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের দেখানো।
-
এসব কার্যক্রমের ফটো বা ভিডিও ডকুমেন্টেশন তৈরি করা।
-
নির্ধারিত গুগল ফর্ম বা ডক লিংকে প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করা।
-
অভিভাবক ও স্থানীয় কমিউনিটিকে এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
কেন এই নির্দেশনা জরুরি?
বর্তমানে মাদকের বিস্তার সমাজের জন্য একটি বড় হুমকি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৈরি করা এই ডকুমেন্টারি ও গানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেষ কথাঃ সময়মতো তথ্য জমা দিন
মাউশির এই নির্দেশনা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আগামী বুধবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নই পারে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে।
আরও পড়ুন: আলিয়া মাদ্রাসায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ চালু: সময়ের দাবি নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার?
মাদক মুক্ত থাকুন, সুস্থ থাকুন!