হৃদয়বিদারক ঘটনায় উত্তপ্ত সিলেট
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে রোষ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দশম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রী (১৬) তার সহপাঠীর সাথে বেড়াতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় ঘটে।
কী ঘটেছিল?
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কিশোরীটি তার সহপাঠী বন্ধুর সাথে ওই ইটভাটায় ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানে পাঁচ যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। পরে তারা উভয় শিক্ষার্থীকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে।
অভিযুক্তরা কারা?
মামলায় নাম উল্লেখ করা পাঁচ আসামি হলেন:
-
ইমরান আহমদ (২৩), নিদনপুর গ্রাম
-
তানজিদ আহমদ (১৮), খিলগ্রাম
-
শাকের আহমদ (২৪), মাইজগ্রাম
-
শাকিল আহমদ (২১), মাইজগ্রাম
-
মুমিন আহমদ (২০), মনতৈল গ্রাম
বিচার চাইছে স্থানীয়রা
ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কিছু লোক সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। গত মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
পুলিশের তৎপরতা
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে, এলাকাটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় অভিযুক্তরা সীমান্ত পাড়ি দিতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
আমাদের প্রতিক্রিয়া
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা সমাজের জন্য একটি কালো দাগ। নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রয়োগ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অপরিহার্য। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া হবে।
সচেতনতা ও প্রতিরোধ
-
শিশু-কিশোরদের নিরাপদে রাখতে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত।
-
সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা ও কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।
-
কোনো ধরনের হয়রানি বা অপরাধের শিকার হলে অবিলম্বে পুলিশের সহায়তা নিন।
আপনার মতামত জানান: এমন ঘটনা রোধ করতে আমরা কীভাবে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি? নিচে কমেন্ট করে শেয়ার করুন।