সুন্দরগঞ্জে এক মর্মান্তিক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর (ছাতিনামারী) গ্রামে এক পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে নির্মমভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম শিশুটিকে গ্রামের নইমুদ্দিনের বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানা যায়।
ঘটনার পর শিশুটির পরিবার স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে র্যাবের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
গ্রেপ্তার ও আইনি প্রক্রিয়া
র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্প এবং র্যাব-১ ঢাকার সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ঢাকার ভাটারা থানার কে-ব্লক রোডের সেভেন স্টার সুপার শপের পেছন থেকে সাইদুল ইসলামকে আটক করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, আইনের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে অভিযুক্তকে সুন্দরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলছে এবং আসামির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে স্থানীয়রা।
সমাজের করণীয়
শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সমাজের মৌলিক চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের সচেতনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি এবং সামাজিক সচেতনতা অপরিহার্য।
শিশু সুরক্ষায় করণীয়:
-
শিশুদের নিরাপদ রাখতে তাদের সঙ্গে খোলামেলা সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
-
কোনো অস্বাভাবিক আচরণ বা পরিবর্তন দেখলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিন।
-
শিশুদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে সচেতন করুন এবং অপরিচিতদের থেকে দূরে রাখুন।
শেষ কথা
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা আমাদের সমাজের অন্ধকার দিককে উন্মোচন করে। আশা করা যায়, দোষী ব্যক্তি দ্রুততম সময়ে কঠোর শাস্তি পাবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সমাজ ও প্রশাসন আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
#শিশু_সুরক্ষা #ধর্ষণ_বিরোধী_আন্দোলন #গাইবান্ধা_ঘটনা #র্যাব_অভিযান