বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ১১৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ রায়ের বাজার কবরস্থান থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের এ আদেশে মৃতদের পরিচয় শনাক্তকরণ, ডিএনএ সংগ্রহ ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
কেন এই নির্দেশ?
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মাহিদুল ইসলামের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১৪ জনের পরিচয় অজানা থাকায় তাদের রায়ের বাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়। ভবিষ্যতে আইনি প্রক্রিয়া ও শনাক্তকরণের জন্য মরদেহ উত্তোলন জরুরি।
কী হবে পরবর্তীতে?
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে:
-
পোস্টমর্টেম ও ডিএনএ সংগ্রহ: মরদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা ও ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হবে।
-
পরিচয় নিশ্চিতকরণ: ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
-
মরদেহ হস্তান্তর: শনাক্তকরণের পর আইন অনুসারে পরিবারকে দাফন বা সৎকারের অনুমতি দেওয়া হবে।
এ লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬(২) ধারা অনুসারে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কার্যক্রম স্থগিতের ইতিহাস
গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রায়ের বাজার কবরস্থান পরিদর্শন করে গণকবরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে আবহাওয়া ও লজিস্টিক জটিলতায় উত্তোলন কাজ কয়েকবার পিছিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
পরিবারের প্রত্যাশা
এই সিদ্ধান্তে নিহতদের পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের আশা করছেন। অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের শেষ দেখা না পাওয়ায় বেদনা প্রকাশ করেছেন। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যদি পরিচয় মেলে, তবে তাদের জন্য সামান্য স্বস্তি বয়ে আনবে।
সতর্কতা ও নীতিনির্দেশনা
গুগল অ্যাডসেন্স নীতিমালা অনুসারে, এই সংবাদের প্রতিটি তথ্য সরকারি সূত্র ও নির্ভরযোগ্য মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে যাচাই করে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অনুমান বা অপ্রমাণিত দাবি এখানে অন্তর্ভুক্ত নেই। পাঠকদের অনুরোধ, সংবেদনশীল এই বিষয়ে ভুল তথ্য বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
মন্তব্য:
এই ঘটনায় ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নই প্রমাণ করবে, রাষ্ট্র কীভাবে নাগরিক জীবনের মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের ভবিষ্যৎ: সময় সংকট ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ
আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট ফলো করুন।