বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অভিজ্ঞ নেতাদের একজন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে সব মামলায় জামিন লাভের পর তিনি কারামুক্ত হয়েছেন।
মুক্তির ঘটনা
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁর পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অসুস্থতা ও চিকিৎসা
কারা কর্তৃপক্ষের জেলার এ কে এম মাসুম জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং কারা তত্ত্বাবধানে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে, ৫ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার ও মামলা
গত বছরের ২৭ অক্টোবর রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা ছিল। আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি পর্যায়ক্রমে সবগুলো মামলায় জামিন পান। সর্বশেষ পল্টন থানার মামলায় জামিন লাভের পর তার মুক্তি নিশ্চিত হয়।
রাজনৈতিক জীবনের প্রেক্ষাপট
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে টানা সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল একই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যা পরিবারটির রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে অব্যাহত রেখেছে।
উপসংহার
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মুক্তি তার রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা যেতে পারে। দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই শেষে মুক্তি পাওয়ায় তিনি আবারও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে আদালতে উত্তেজনা