ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার কাঠামো
রিটার্নিং অফিসার প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী জানান, নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা জোরদার করতে তিন স্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রথম স্তর: প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন ভোটকেন্দ্রে।
দ্বিতীয় স্তর: বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ সদস্যরা।
তৃতীয় স্তর: সেনাবাহিনী নির্দিষ্ট পয়েন্টে অবস্থান নেবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সারাদিন সক্রিয় থাকবে। ভোট শেষে তারা ব্যালট সুরক্ষায়ও দায়িত্ব পালন করবে।
বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ভোটের আগে সাত দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। হাউস টিউটর ও প্রভোস্টরা বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবেন। তিনি আরও জানান, নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ পরিদর্শনের মাধ্যমে এ নিয়ম কার্যকর রাখা হবে।
ক্যাম্পাস ও মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে
ভোটের দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সিলগালা থাকবে। কেবল বৈধ ভোটাররাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনও বন্ধ থাকবে।
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
প্রফেসর রব্বানী আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনাবাসিক। তাদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেবা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা হবে।
উপসংহার
ডাকসু নির্বাচন সব সময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। এবারের নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানকেই নির্দেশ করছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচনের দিন পুরো ক্যাম্পাস থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে।
আরও পড়ুন: সারজিস আলমের শশুর হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেন