রাজধানীর বিজয়নগরে রাজনৈতিক উত্তেজনার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে তিনি রক্তাক্ত হন। পরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় দলের আরও অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কী ঘটেছিল বিজয়নগরে?
দিনের শুরুতেই রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ হয়। সেখানে গণঅধিকার পরিষদ ও জাপার কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয় দলই একে অপরকে হামলার জন্য দায়ী করে। এই ঘটনার জের ধরে রাতের দিকে গণঅধিকার পরিষদ বিজয়নগরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে লাঠিচার্জ চালায় বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা। এতে আহত ভিপি নুরসহ বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হন। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ জানান, “পুলিশের আকস্মিক হামলায় আমাদের সভাপতি আহত হয়েছেন। তার সঙ্গে আরও অন্তত ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা
ঘটনার পরপরই বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করা হয়, যার ফলে আহত ভিপি নুর এবং অন্যরা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সংঘর্ষ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে। আহত ভিপি নুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এটিকে গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন।
আহতদের অবস্থা
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশেষ করে আহত ভিপি নুর বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর দলের নেতাকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উপসংহার
রাজনৈতিক বিরোধে সহিংসতা কখনোই সমাধানের পথ হতে পারে না। আহত ভিপি নুর ও অন্যান্য আহতদের সুস্থতা কামনার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসন করা।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা হতে ২০০ কোটি টাকার চেক : দুদকের অভিযানে সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত