বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চোট কাটিয়ে ধীরে ধীরে ফিরছেন এই গতিশীল বোলার, যা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক সংবাদ।
ইনজুরি থেকে ফিরে আসার লড়াই
গত এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় ডান পাঁজরে চোট পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ হতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ মিস করতে হয় তাঁকে এবং বিশ্বকাপ নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তবে, সোমবার (২৭ মে) টেক্সাসের ডালাসে বাংলাদেশ দলের সাথে বোলিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাসকিনকে। এমআরআই রিপোর্টও ইতিবাচক এসেছে, যা নির্দেশ করে যে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ফিরতে পারেন তাসকিন
বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট আশা করছে যে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তাসকিন আহমেদ ফিরে আসবেন। তাঁর সম্পূর্ণ ফিটনেসের জন্য এখনও প্রায় ১১ দিন সময় আছে, যা একটি ইতিবাচক দিক।
টেক্সাসে অবস্থানকালে তাসকিন নিয়মিত বোলিং অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। এরপর ৩১ মে বাংলাদেশ দল লন্ডনে পৌঁছাবে, সেখানে আরও ইনটেন্সিভ প্রস্তুতি নেওয়ার পর বিশ্বকাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবেন তিনি।
তাসকিনের ফিরে আসা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। তাঁর গতি, সুইং এবং মিডিয়াম-পেস বোলিং বিপক্ষ দলের ব্যাটারদের জন্য সবসময় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। বিশেষ করে পাওয়ারপ্লে ও ডেথ ওভারগুলোতে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।
তাঁর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই তাঁর ফিটনেস দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে একজন অভিজিত পেসারের উপস্থিতি বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
কী বলছে দলীয় ম্যানেজমেন্ট?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB) এবং দলীয় কোচিং স্টাফ তাসকিনের সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁরা চাইছেন না যে তাড়াহুড়ো করে ফিরে এসে তিনি আবারও চোট পেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়ুন। তবে, প্রাথমিক রিপোর্ট ও তাঁর বোলিং সেশনের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে, তাসকিন সময়মতো ফিট হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবেন।
উপসংহার: বাংলাদেশের জন্য বড় রিলিফ
তাসকিন আহমেদের ফিরে আসা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নতুন গতি এনে দিয়েছে। যদি তিনি পুরোপুরি ফিট হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী হবে। এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষা, তাসকিন যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জয়জয়কার: ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ধারাবাহিকতা বজায়
আপনার কী মনে হয়? তাসকিনের ফিরে আসা বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কমেন্টে জানান!