গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগ, পুলিশের রিমান্ড আবেদন
পুলিশ গুলশানের একটি বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে। আজ রবিবার (তারিখ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করেন। শুনানির পর আদালত সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।
কে এই অভিযুক্তরা?
রিমান্ড আবেদনকৃত অভিযুক্তরা হলেন:
-
আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ – সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা
-
সাকাদাউন সিয়াম
-
সাদমান সাদাব
-
মো. ইব্রাহিম হোসেন
এছাড়া মামলার মূল আসামিদের মধ্যে আরও আছেন কাজী গৌরব অপু এবং মো. আমিনুল ইসলাম (একটি শিশু, আইনের সংঘাতে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে)।
মামলার পটভূমি
মামলার বাদী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টায় রিয়াদ ও গৌরব অপু সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় যান এবং হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা না দেওয়ার হুমকিতে বাদী প্রথমে ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন।
পরবর্তীতে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু বাদীর বাসায় গিয়ে হুমকি দেন। ২৬ জুলাই তারা আবার বাদীর বাসার সামনে উপস্থিত হয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়, তবে গৌরব অপু পালিয়ে যান।
পুলিশের তদন্ত ও রিমান্ড আবেদন
পুলিশের দাবি, এই মামলায় আরও তদন্ত প্রয়োজন। আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্যমতে, এই চাঁদাবাজি নেটওয়ার্কের সম্ভাব্য অন্যান্য সদস্য ও অর্থের উৎস খুঁজে বের করতে রিমান্ড প্রয়োজন।
আইনি প্রক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপরদিকে, আসামিদের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদনও করা হতে পারে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আন্দোলনের সাথে জড়িতরা দাবি করছেন, এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
নিরাপত্তা ও সতর্কতা
ঢাকার উচ্চবিত্ত এলাকায় চাঁদাবাজির মতো ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে এবং কোনো প্রকার চাঁদা বা হুমকির মুখে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
শেষ কথা
এই মামলার তদন্ত যেভাবে এগোবে, তা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে প্রভাব ফেলতে পারে। আদালতের সিদ্ধান্ত এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্টই পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করবে।
আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
বিঃদ্রঃ – এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্র ও পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী লিখিত। কোনো প্রকার ভুল তথ্য বা বিভ্রান্তি দেখা গেলে তা সংশোধন করা হবে। পাঠকদের অনুরোধ, কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকুন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিন।