সানরাইজ৭১ এর আজকের আর্টিকেলটি একটু ব্যতিক্রমধর্মী। আজ আমরা আলোচনা করবো বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নাবলী নিয়ে। এগুলো আসলে শুধু ডাক্তারের-ই জানার প্রয়োজন নয়, ছাত্রছাত্রীদের তো জানতেই হবে এবং রোগীরও জানা প্রয়োজন। তাহলে ডাক্তারের কাছে গেলে সুবিধা হবে বলতে। একটা রোগ সম্বন্ধেও অনেক কিছু জানা হবে। আর দেরি নয়; চলুন জেনে নিই প্রশ্নগুলোঃ
১। যন্ত্রণা – যন্ত্রণা কেমন হয়? যন্ত্রণা কোন অংশে হয়? সব সময় হয় কিনা? যদি না হয় তাহলে কখন বেশি হয় এবং কখন কম হয়? খাবার গ্রহণের সাথে যন্ত্রণার কোন সম্পর্ক আছে কিনা?
২। ক্ষুধা – ক্ষুধা ভালো হয় কিনা? ক্ষুধা থাকলেও খেতে ভীতি সঞ্চার হয় কিনা?
৩। বমি – বমি কি পরিমাণ হয়? যন্ত্রণার সাথে বমির কোন সম্পর্ক আছে কিনা? বমি হলে যন্ত্রণা বাড়ে নাকি কমে? বমিতে বুকে বা পেটে কোন কষ্ট হয় কিনা? বমির স্বাদ কেমন? বমির রং কেমন?
৪। পেটফাঁপা – বায়ু উপরের দিকে ওঠে না সরে? বায়ু নড়াচড়ার ফলে অস্বস্তিকর লাগে কিনা?
৫। মুখে পানি নিঃস্বরণ – মুখে পানি নিঃসৃত হয় কিনা? যদি হয় তার স্বাদ কেমন?
৬। ঢোক গিলতে কষ্ট – খাবার গিলতে কোন কষ্ট হয় কিনা; যদি হয় তা তরল না কঠিন খাবারের ক্ষেত্রে হয়?
৭। পায়খানা – সারাদিনে কতবার পায়খানা হয়? প্রত্যহ পায়খানা হয় কিনা? পায়খানার রং কেমন? কোন আমাশয় বোঝা যায় কিনা? পায়খানাতে রক্ত থাকে কিনা? মলত্যাগকালীন কোন যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা?
৮। লিভার – লিভারের স্থানে কোন ব্যথা বা যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা? প্রস্রাব হরিদ্রাভ হয় কিনা?
১। সর্দি – সর্দি কতদিন যাবৎ আক্রমণ করছে? সর্দি তরল না ঘন? নাকের অথবা মাথার যন্ত্রণা আছে কিনা? গলায় কুটকুটানি ভাব আছে কিনা?
২। কাশি – কাশি শুষ্ক অথবা আর্দ্র কোনটি? কোন সময়ে কাশি বৃদ্ধি পায়? কাশিতে কোথায় ব্যথা অনুভূত হয়? কাশি ঠাণ্ডা অথবা গরম কখন বৃদ্ধি পায়?
৩। শ্লেষ্মা – শ্লেষ্মা ভালোভাবে নির্গত হয় কিনা? ইহা কি পরিমাণে নির্গত হয়? শ্লেষ্মার রং কি? শ্লেষ্মা গাঢ় না তরল? কোন গন্ধ আছে কিনা?
৪। শ্বাস-কষ্ট – কখন হয়? শুয়ে থাকলে অথবা কর্মরত অবস্থায় কখন বৃদ্ধি পায়? কাশির পরে শ্বাস-কষ্ট কমে নাকি বৃদ্ধি পায়? শ্বাস-কষ্ট ঠাণ্ডা অথবা গরম কখন বৃদ্ধি পায়? বুকে কোন যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা? গলা বা বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হয় কিনা?
৫। বুকের যন্ত্রণা – যন্ত্রণা হঠাৎ আরম্ভ হয়েছে কিনা? কাশির পর বৃদ্ধি পায় কিনা? শ্লেষ্মা নির্গত হলে কমে কিনা? কোন অংশে বেশি যন্ত্রণা অনুভূত হয়?
১। প্রস্রাবের পরিমাণ কেমন? রাত্রে প্রস্রাব হয় কিনা? প্রস্রাবের রং কেমন এবং তা পরিবর্তনশীল কিনা? প্রস্রাব বাহির হবার সময় তা স্বচ্ছ না অস্বচ্ছ দেখায়? প্রস্রাব সাদাটে রং হয় কিনা? প্রস্রাব খুব বেশি হয় কিনা? প্রস্রাব ত্যাগের সময় কোন জ্বালা-যন্ত্রণা হয় কিনা? প্রস্রাবে কোন রক্ত বা পুঁজ নির্গত হয় কিনা? প্র্রস্রাবের সাথে কোন কঠিন পদার্থ নির্গত হতে কোন সময় দেখা যায় কিনা?
১। চর্মরোগটি কতদিন দেখা গেছে? পূর্বে অন্য কোন চর্মরোগ হয়ে সেরে গিয়েছে কিনা? বংশে অন্য কোন ব্যক্তির ঐ রোগ আছে কিনা? বা পূর্বে ছিল কিনা? শরীরে অন্যান্য রোগ আছে কিনা? রোগটি হঠাৎ দেখা দেয় নাকি কোন পূর্ব লক্ষণ ছিল? রোগটির কোন বৃদ্ধি বা উপশম লক্ষ্য করা যায় কিনা? রোগটির সাথে আবহাওয়া বা কোন খাবারের কোন সম্পর্ক আছে কিনা? রোগটির জন্য তার কোন পেশাগত কারণ জড়িত আছে কিনা? পূর্বে কোন চিকিৎসা হয়েছে কিনা? রোগটিতে কোন কষ্ট উপলব্ধি হয় কিনা? কোন জ্বালা বা চুলকানি বা যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা? এছাড়াও রোগীর উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে আরও নানা রকম প্রশ্ন করা যেতে পারে।
হৃৎপিণ্ডের রোগ – কোন যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা? মাথা ঘোরা বা বুক ধড়ফড়ানি হয় কিনা? দুশ্চিন্তা বা ভয় হয় কিনা? শ্বাস-কষ্ট হয় কিনা? পূর্বে কোনদিন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা? পূর্বে রক্তচাপ বেশি নাকি কম থাকত?
স্ত্রীরোগ – পূর্বে কোন রোগ ছিল কিনা? ঋতুস্রাব নিয়মিত হয় কিনা? সেটা পরিমাণে খুব কম নাকি বেশি হয়? ঋতুস্রাবের সময় যন্ত্রণা অনুভূত হয় কিনা? শ্বেতস্রাব হয় কিনা? বিবাহিত হলে কতগুলো সন্তান রয়েছে? কোন অস্ত্রোপচার (অপারেশন) হয়েছে কিনা? গর্ভনিরোধক হরমোন ট্যাবলেট ব্যবহার করে কিনা?
হাড়ের রোগ – কোন পূর্ব ইতিহাস আছে কিনা? কোন আঘাত প্রাপ্তি হয়েছে কিনা? যন্ত্রণা হয় কিনা? যদি হয় তা তীব্র কিনা? কখন যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়? নড়াচড়া করতে কষ্ট হয় কিনা? আড়ষ্ট ভাব থাকে কিনা? পেটের গণ্ডগোল আছে কিনা?
শিশুরোগে – একইভাবে প্রশ্ন শিশুর পিতা-মাতা অথবা অন্যান্য গুরুজনদের নিকট করা দরকার।
উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বনের পর যদি শারীরিক পরীক্ষায় রোগ নির্ণয় সম্ভব না হয় তবে তখন নিদান শাস্ত্র অর্থাৎ প্যাথলজি বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয় করতে হবে। প্রয়োজনে ফটোগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাফি প্রভৃতির সাহায্য নিতে হবে।
রোগীর পরীক্ষা শেষ হলে রোগীকে ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উপদেশ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় নিষেধ আরোপ করতে হবে। রোগীকে যতোটা সম্ভব সাহস প্রদান করতে হবে। কতদিন চিকিৎসা করা দরকার তারও বর্ণনা করতে হবে।
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
Leave a Reply