সানরাইজ৭১ এ আপনাকে স্বাগতম। আশা করছি, সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা আলোচনা করবো শ্বেত প্রদর বা সাদা স্রাবের ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
লক্ষণঃ ঠাণ্ডা লাগা, অপরিষ্কার থাকা, উত্তেজক দ্রব্য পানাহার, কৃমি, অতিরিক্ত সঙ্গমে স্বাস্থ্যভঙ্গ প্রভৃতি কারণে এ রোগ হয়। জরায়ুর আবরক ঝিল্লী, জরায়ুর অভ্যন্তর এবং জরায়ুর মুখ হতে কয়েক রঙের যে স্রাব নির্গত হয় তাকেই শ্বেত প্রদর বলা হয়।
স্রাবের রং প্রায়শঃ সাদা হয় বলেই লোকে একে শ্বেত প্রদর বলে থাকে। বস্ত্রে দাগ লাগা, মাথা ধরা অজীর্ণতা, দুর্বলতা প্রভৃতি এ রোগের লক্ষণ।
১। দৈনিক সকালে ২ চামচ কাঁচা হলুদের রস, ২ চামচ দূর্বার রস, ১ চামচ চিনি একত্রে মিশিয়ে খেতে হবে ১৫ দিন পর্যন্ত।
২। শুকনো আমলকীর চার-পাঁচ গ্রাম রাতে ভিজিয়ে সকালে ছেঁকে এর সাথে আধ চামচ কাঁচা হলুদের রস কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। অর্জুন ছাল চার-পাঁচ গ্রাম রাতে ভিজিয়ে সকালে ছেঁকে তার সঙ্গে আধ চামচ কাঁচা হলুদের রস কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৪। দুই তিনটি ডালিমের ফুল বেটে কিছুটা সাদা চন্দনের সাথে মিশিয়ে অল্প পানি কিংবা দুধ দিয়ে ৫/৬ দিন খেলে এ রোগের উপশম হয়। তবে এ রোগে গরম জাতীয় খাবার খাওয়া নিষেধ।
৫। বেড়েলার মূল পেষণ করে, মধু মিশ্রিত করে গো-দুগ্ধের সাথে পান করলে এই রোগ প্রশমিত হয়। কুশের মূল, শ্বেত বেড়েলার মূল, তণ্ডলোকের সাথে পান করলে প্রদর ও সাদা স্রাব প্রশমিত হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসাঃ দৈনিক ঈষৎ গরম পানিতে গোসল করতে হবে। দৈনিক ৩/৪ বার জননেন্দ্রিয় ধুয়ে ফেলা, বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করা খুবই উপকারী। কুরুচিপূর্ণ বই পড়া, কুসংসর্গ, গুরুপাক দ্রব্য আহার ও স্বামীর সাথে সহবাস নিষিদ্ধ।
আজ আর নয়। ফিরে আসবো অন্য দিন নতুন কোনো স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে। সবাই সুস্থ্য, সুন্দর ও ভালো থাকুন। নিজের প্রতি যত্নবান হউন এবং সাবধানে থাকুন।
এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং প্রয়োজনীয় মনে হয় তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন।
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
Leave a Reply