উৎস : উদ্ভিজ (পেঁয়াজ থেকে তৈরী)।
কাতরতা : গরম কাতর।
ধরণ : তরুণ রোগের ঔষধ।
আক্রান্ত দিক : মূলত বামদিক তৰে ৰাম থেকে ডানদিক আক্রান্ত হয়।
মায়াজম : সোরিক।
রোগের কারণ : স্যাঁত সেঁতে ও ঠান্ডা বাতাসে। ভিজলে। সালাদ খেলে, শসা খেলে। যন্ত্র-পাতির মাধ্যমে ডেলিভারি করানোর কারণে।
মানসিক লক্ষণ : সর্দির সাথে খুব বিষন্নতা। রোগী মনে করে, সে এই সপ্তাহের মধ্যেই মারা যাবে।
জীবন তার কাছে বোঝা মনে হয়।
স্থান পরিবর্তনের অনীহা।
খুব সহজেই উত্তেজনা, রাগ ও প্রতিহিংসাপূর্ণ মনের অবস্থা।
বিপক্ষের লোকদের সহ্য করতে পারে না।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে চা বা হালকা উত্তেজক কিছু সেবন করে রাগ ভুলে যেতে চাই।
রোগী : এলিয়াম সেপা মূলত তরুণ সর্দির জন্য দারুণ উপকারী এ ছাড়াও আরও কিছু ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
এলিয়াম সেপার সর্দিতে নাক থেকে প্রচুর পানি ঝরে। নাকের সর্দি যেখানে লাগে সেখানে ক্ষত সৃষ্টি হয় (হাজে)। সেই সাথে চোখ দিয়েও পানি পড়ে তবে চোখের চেয়ে নাক থেকে অনেক বেশী পানি ঝরে।
ইউফ্রেসিয়ায় নাকের চেয়ে চোখ দিয়ে অনেক বেশি পানি পড়ে।
এলিয়াম সেপায় নাক থেকে প্রচুর পানি ঝরে আর ইউফ্রেসিয়ায় চোখ থেকে প্রচুর পানি ঝরে।
এলিয়াম সেপায় নাকের পানিতে ক্ষত সৃষ্টি হয় (হাজে) কিন্তু চোখের পানিতে ক্ষত সৃষ্টি হয়না (হাজেনা)।
ইউফ্রেসিয়ায় চোখের পানিতে ক্ষত সৃষ্টি হয় (হাজে), কিন্তু নাকের পানিতে ক্ষত সৃষ্টি হয়না (হাজেনা)।
নাকের তালু ও চোখ পেঁয়াজের ঝাঁজ লাগার মত জ্বালা করে। পেঁয়াজের খােসা ছড়ানাের সময় যে ভাবে নাক, চোখ জ্বালা করে, সর্দির সময় এলিয়াম সেপায় সেইরুপ নাক জ্বালা করে।
নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরে। নাকের মধ্যে বাতাস ঢুকলে যন্ত্রণাদায়ক কাশি হয়।
কাশির সময় গলা বা বুক এত যন্ত্রণা করে যে, কাশির সময় গলা বা বুক চেপে ধরে। কাশির ধমকে গলা ছিড়ে যাবার মত অবস্থা। অনবরত গলা সুড়সুড় করে, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয়।
প্রতি বছর বসন্তকালে সর্দি দেখা দেয়। সকালে অবিরত হাঁচি হয়, গরম ঘরে হাঁচি দেখা দেয়। খােলা বাতাসে উপশম হয়।
নাকে পলিপাস। নতুন জুতা পরার কারণে পায়ে ফোস্কা হলে বা ঘা হলে এলিয়াম সেপা দারুণ করে। কাঁচা ফল মুল খেয়ে পেট ব্যথা। দাঁতের ব্যথায় দাঁত চুষলে আরাম পায়।
ইচ্ছা : কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার খুব ইচ্ছা।
অনিচ্ছা : মাংস।
পিপাসা : জিহ্বা শুষ্ক ও পিপাসা থাকে।
বৃদ্ধি : গরম ঘরে ও সন্ধ্যায় বৃদ্ধি।
উপশম : খোলা বাতাস ও ঠাণ্ডা ঘরে উপশম।
শক্তি : সাধারণত তরুণ সর্দিতে M/1 হতে M/3 ও ৩০ হতে ২০০ শক্তি বেশি ব্যবহার হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে M/4 ও ১হাজার শক্তি হতে উচ্চশক্তি ব্যবহার হয়।
সুত্রঃ ডাঃ মোঃ আশরাফুল হক
Leave a Reply