ঔষধটি কালমেঘ হিসাবে বেশি পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম: Andrograhis paniculata। যা হোমিওপ্যাথগন দুই নামেই ব্যবহার করেন।
লিভারের উপর এর কার্যকারিতা বেশি বলে সকল প্রকার লিভার রোগেই ব্যবহৃত হয়। অনেকে আবার লিভার টনিক হিসাবেও বিবেচনা করেন, যা ঠিক নয়। লিভারের সমস্যা ছাড়াও ক্লিনিক্যালি সর্দি-কাশির প্রাথমিক অবস্থা, দীর্ঘদিন জ্বরে ভোগার পর, সাধারণ দুর্বলতায়, বাচ্চাদের লিভারের সমস্যা ও জণ্ডিসে বহুল ব্যবহার আছে।
সারা-শরীরে জ্বালা, বিশেষতঃ হাতের তালুর জ্বালাপোড়া ঔষধটির প্রধান লক্ষণ। হাত-পায়ের তালুতে এতো জ্বালাপোড়া যে বারবার ধৌত করতে বাধ্য হয়, ঠাণ্ডা পানিতে ধৌত করলে আরামবোধ করে। নবজাতকের জণ্ডিস, শিশুদের কালাজ্বর ও লিভার বড় হয়ে ঘুষঘুষে জ্বর লক্ষণে ব্যবহার করা যায়।
মানসিক লক্ষণ: মনমরা ভাব, কোন কাজ করার ইচ্ছা নেই-এমনকি কথা বলতেও ইচ্ছা করে না। অস্থির প্রকৃতির-সহজেই রেগে যায়।
মাথা: মাথাঘোরা, ভারীবোধ এবং মাথার পেছনে দপদপানি(throbbing) ব্যথা।
চোখ: চোখ লাল বর্ণের হয়ে যায়, চোখের ভেতরে হলদেটে ভাব দেখা যায়।
নাক: নাক হতে তরল সর্দি-স্রাব ঝরতে থাকে, মাঝে মধ্যেই হাঁচি আসে।
মুখ: মুখে তিক্তস্বাদ, শুকনো মনে হয়, গলা জ্বালা করে, জিহ্বায় সাদা প্রলেপ পড়ে।
পেট: বুকে জ্বালা; পেটে ভারীবোধ-কোন ধরণের ক্ষুধা নেই, লিভার বড় হয়ে যায়;
নবজাতকের জণ্ডিস; লিভারের জড়তা-ঠিকমতো কাজ করে না। স্নায়ুশূল, বদহজম এবং দুর্বলতা।
মল: ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিণ্য পর্যায়ক্রমে আসে, বারবার পায়খানার বেগ হয় কিন্তু মলত্যাগ হয়না। কালচে-শক্ত মল। হলদেটে পাতলা পায়খানা। শিশুদের পাতলা পায়খানার সময় মলের সাথে প্রচুর বাতাস বের হয়। মলের সাথে কৃমি আসে, আমযুক্ত মল।
প্রস্রাব: ঘাঢ় বর্ণের প্রস্রাব; হলুদ প্রস্রাব।
জ্বর: শীতবোধসহ জ্বর এবং সারাশরীরে
তাপ দেখা দেয়; পানি পিপাসাসহ মাথাব্যথা, সারাশরীরে জ্বালা- ঠাণ্ডা বাতাস ও পানিতে আরাম পায়। জ্বর সকাল ১১টায় আসে, একটু কমে-আবার সন্ধ্যা ৭-৮টায় দেখা দেয়-সবিরাম জ্বর। জ্বরের সময় ভয় পায়-ভীতিভাব প্রকাশ করে।
হ্রাস-বৃদ্ধি: ঠাণ্ডা পানি, ঠাণ্ডা ও ঘামে আরাম। জ্বরের সময় বৃদ্ধি।
মাত্রা: মাদারটিংচার, 3x, 6x, 30 শক্তি ব্যবহৃত হয়।
Leave a Reply