এবার এলো খুশীর খবর। করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে। বস্তুত এখন পর্যন্ত নেই কোনো প্রতিষেধক। কিন্তু এর চেষ্টা অব্যাহত আছে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এবং এটি এখনও চলমান। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে এই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছুটা সফলতার মুখও তারা দেখেছেন। এমনই বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেল। আর্টিকেলটির সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তৃতীয় ট্রায়ালেও সফল হয়েছে বহির্বিশ্বের বিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের তৈরি করা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। এর ফলে বৈশ্বিক এই মহামারিটি’কে (করোনা ভাইরাস) ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীদের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে গিয়েছে তারা যেটা সত্যিই খুব খুশীর খবর।
বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’ দাবি করেছে, সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথমেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে বাজারে। অবশ্য সবার হাতের নাগালে শুরুর দিকে নাও থাকতে পারে।
এদিকে আরও একটি ভ্যাক্সিনেরও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে যেটা গবেষনা করে বের করেছে ‘আরব আমিরাত ও চীনের’ একদল গবেষক। এই গবেষণা করছে আমিরাত ভিত্তিক কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা কোস্পানি ‘জি৪২’ এবং চীনা কোম্পানি ‘সিনোফার্ম গ্রুপ’।
প্রথম দুই ট্রায়ালে বরাবরের মতোই সাফল্য পেয়েছে এই ভ্যাকসিনও। জানা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে খুব বেশি দেরী নেই। অক্সফোর্ড ও অক্সফোর্ডের অধীনস্থ ‘জেন্নার ইউনিভার্সিটির’ গবেষকদের ডিজাইন করা ভ্যাকসিন ‘ক্যানডিডেটের’ চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে।
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্বের নামী-দামী ওষুধ কোম্পানীগুলো। এটা আমাদের সবার জন্যই খুব আশাব্যঞ্জক একটি ব্যাপার। অন্যদিকে, ডিএনএ ভ্যাকসিনের প্রথম হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ।
এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের দায়িত্বে ছিলেন, ভাইরোলজিস্ট সারাহ গিলবার্ট, অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, ডক্টর স্যান্ডি ডগলাস ও অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল এবং জেন্নার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা।
ব্রাজিলে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রজেনেকা প্রাইভেট লিমিটেড। তাদেরও ফলাফল অনেকটা ভালো। লেমানন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্রাজিলে করোনার হটস্পট ‘সাও পাওলো’ ও ‘রিও ডি জেনিরোতে’ মোট ৩০০০ জনকে দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন।
এসবের মধ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সাও পাওলোতে ২০০০ জন ও রিও ডি জেনিরোতে এক হাজার জনকে দেয়া হচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার জনকে বেছে নেয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য। পরবর্তী পর্যায়ে আরো বেশিজনকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
আমরা সবাই খুবই আশাবাদী। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ হয়তো আশাবাদী। আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই। কিন্তু এখনও প্রত্যেকদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। আসুন, সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধৌত করি। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাই, নিজে সুস্থ্য থাকি – অপরকে সুস্থ্য রাখি।
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারিরীক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগীতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
Leave a Reply