[তিমি মাছের অন্ত্র ও বিষ্ঠার মধ্য হতে এক প্রকার পদার্থ নিয়ে প্রস্তুত করা হয়]
তিমি মাছের দেহ হতে নির্গত হয়, বৃদ্ধদের ওষুধ, প্রধান ক্রিয়া করে স্নায়ুমন্ডলীর উপর, দূর্বল বৃদ্ধ বা অকাল বৃদ্ধের, উত্তেজনা কামোম্মাদ, মূর্চ্ছা, সূতিকাক্ষেপ, ন্যাবা, মুখে ব্রণ, জিহ্বায় টিউমার, মুখ শুষ্কতা, পিপাসাহীন, মাথার চুল উঠে যায়, বার্ধক্যজনিত অসাড়তা, স্মরণশক্তি কম, স্নায়ুবিক দূর্বলতা, ঋতুস্রাব, প্রচুর রক্তপাত, বৃদ্ধদের অদম্য কোষ্ঠবদ্ধতা ও মাথা ঘোরার, উদাসীন, শিশু ও বৃদ্ধদের হাঁপানী, নিষ্ফল মল বেগে রোগীর উৎকণ্ঠা, বহুমুত্র এবং জিহ্বার আঁচিল।
রোগী পাতলা, মুখটা শুষ্ক, দূর্বল ব্যক্তি। স্নায়ুবিক দূর্বলতার বা অবসন্নতার প্রধান কথার সঙ্গে খিটমিটে স্বভাব। পীড়িত কালে মানসিক গোলযোগ দেখা দেয়।
মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও তার সঙ্গে মেজাজ রুঢ় ভাব এই ওষুধের একটি বিশেষ লক্ষণ। শোক,তাপ, দুঃখ-দূর্ভাবনা জীবনে এলে রোগীর স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। পারিবারিক চিন্তার পর চিন্তা, কল্পনার পর কল্পনা এসে রোগীকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে যার ফলে হাজার চেষ্টা করেও সে নিজেকে অনর্থক চিন্তা থেকে মুক্ত করতে পারে না।
খুব দুঃখ প্রকাশ করে, সর্বদা কাঁদতে থাকে, নিজের মৃত্যু কামনা করে। রোগী একের পর এক প্রশ্ন করেই যায়, সে কখনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করে না। রোগী একটি বিষয় থেকে আরেকটি বিষয়ে দ্রুত চলে যায়; বলা যায় খামখেয়ালী বক্তার মতো।
বৃদ্ধ বয়সে উপরোক্ত লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। কম্পণও একটি অদ্ভুত রকমের লক্ষণ যা বৃদ্ধ বয়সেই দেখা যায়। যুবকের মনেও যদি বৃদ্ধদের মতো অবস্থা পরিলক্ষিত হয় তাহলেও এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে। অ্যাম্ব্রাগ্রেসিয়া একটি চরিত্রগত লক্ষণ এর ওষুধ।
লোক সমাজে যেতে সঙ্কোচ বোধ করে। গান শুনলে কাঁপতে থাকে। ডা. এলেন বলেন – ‘যেসকল শিশু ও বালিকা সহজেই উত্তেজিত হয়, সংসারজীবনে ক্লান্ত, শারিরীকভাবে দূর্বল, বৃদ্ধ ও শীর্ণদেহ বিশিষ্ট বিষন্ন ব্যক্তির পক্ষেও এই ওষুধ কার্যকর ’। অপর লোকের উপস্থিতিতে মানসিক গোলমাল হতে আরম্ভ করে।
সবগুলো লক্ষণই খারাপ প্রকৃতির হয়। বন্ধু-বান্ধবীর উপস্থিতিতে মানসিক গোলমাল হতে আরম্ভ করে। নিষ্ফল মল বেগে রোগীর উৎকণ্ঠা। তার (রোগীর) পিঠে হাতুড়ি মারার মতো যন্ত্রণা হয়।
এই ওষুধ প্রয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই রোগীর স্নায়ুবিক লক্ষণগুলো ঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সংসারের চিন্তাক্লিষ্ট বৃদ্ধা ব্যক্তিদের হাঁপানি সহবাস করতে গেলেই বাড়ে। আর সেই ক্ষেত্রে এটিই সর্বশ্রেষ্ঠ ওষুধ। শরীরের এক পাশে ঘাম বা আক্রান্ত হয়।
মাথার ডানে এমন একটা স্থান দেখা যায় যেখানে চুল স্পর্শ করলে ঘায়ের মতো বেদনা বোধ হয়। চর্মেও ঐ একই লক্ষণ দেখা যায়। স্পর্শে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বৃদ্ধদের মাথাঘোরা আর তালুতে যেন একটি ভারী দ্রব্য আছে এমন মনে হয়। পরিপাক শক্তি কম হওয়ায় দেহে রস রক্তের অভাব হয়।
পাকস্থলীর গর্তে যেন আর কিছুই নেই এমন অনুভূতি হয়। বৃদ্ধ বয়সের অদম্য কোষ্ঠবদ্ধতা। ডা. কেন্ট লিখেছেন – ‘ওষুধটি অকাল বার্ধক্যেও ব্যবহার করা যাবে’। যে বয়সে যে লক্ষণ হওয়া উচিত তা অপেক্ষা ১০ বছর আগেই সেই লক্ষণ উপস্থিত হয়।
বিষয় হতে বিষয়ান্তরে যাওয়াই এই ওষুধের উৎকৃষ্ট লক্ষণ। নিদ্রালক্ষণের মধ্যেও একটি বিশেষত্ব আছে। ঘুম আসছে কিন্তু শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম অন্তর্হিত হয়। কাশির সঙ্গে উদগার উঠে। মল ত্যাগের সময় কেউ কাছে থাকলে মল ত্যাগ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
দুই ঋতুর মধ্যবর্তী কালে প্রচুর রক্তস্রাব হয়। ঋতুকালে বাম পা শিরা স্ফীতির জন্য সম্পূর্ণ নীল হয়ে যায় এবং বেদনা হয়। জ্বর সকালে হয় ও ভয়ানক আলস্যতা ও নিদ্রা দেখা দেয়। ১৫ মিনিট অন্তর কম্প উত্তাবস্থা আসে। দুপুর রাতের পর ভয়ানক ঘাম।
ইগ্নেসিয়া, লিলিয়াম, ব্যারাইটা কার্ব, ফসফরাস, সিমিসিফুগা, অ্যাসাফেটিডা, কোকো, লাইকো।
ক্যাম্ফর, কফিয়া, নাক্স, পালসেটিলা, স্ট্যাফি।
খোলা বাতাসে, চলাফেরায়, ঠান্ডা পানি ও খাদ্যে, আহারের পরে, উপরের দিকে বায়ু নিঃসরণ হলে, শয্যা হতে উঠলে।
গান-বাজনায়, সন্ধ্যায়, গরম দুধে, তাপে, রাতে যদি স্রাব হয়, সহবাসের পর হাঁপানি, অপরিচিত লোকের আগমণে, কাশি সকালে, শুলে জরায়ুর যন্ত্রণা।
একলা থাকতে, বার বার মল ত্যাগের।
(জীবনের জন্য ঘৃণা) বাঁচতে, গীত বাদ্য।
দুধ।
ক্যাম্ফর।
গভীর সোরিক, এন্টি টিউবারকুলার।
গরমকাল / ২০ দিন।
৩০/২০০/১০০০।
এম ২, এম ৩, এম ৪, এম ৫, পুরাতন রোগের ক্ষেত্রে শক্তি উর্দ্ধে।
[বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজনে, আমাদের সহযোগিতা নিন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
Leave a Reply