আসন্ন এশিয়া কাপ ২০২৫ উপলক্ষে ২২ সদস্যের একটি প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে আফগানিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও হংকংয়ের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে ৯ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে রশিদ খান নেতৃত্বাধীন আফগান দল।
তারকাবিহীন স্কোয়াডে বড় প্রশ্ন
এই স্কোয়াডে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নাম অনুপস্থিত, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে বিস্ময় ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ স্পিনার মুজিব উর রহমান ও হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরান-এর অনুপস্থিতি নজর কেড়েছে।
মুজিব উর রহমান: মাঠে ফিরে হলেও জায়গা মেলেনি
গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার অংশ নেওয়ার পর ইনজুরি কাটিয়ে ঘরোয়া লিগে ফিরেছেন মুজিব। সম্প্রতি শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে তিনি ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট, যা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ব্যাট হাতেও করেছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান। তবু নির্বাচকদের কছে তিনি ছিলেন উপেক্ষিত।
নাজিবউল্লাহ জাদরান: অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বাদ
আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজিবউল্লাহ জাদরানকেও দেখা যাচ্ছে না প্রাথমিক স্কোয়াডে। ১০৭ ম্যাচে ২৯ গড়ে করেছেন ১৮৩০ রান, স্ট্রাইকরেট ১৩৭.৮০—তবু তিনি জায়গা পাননি। দল থেকে তার বাদ পড়া দলের ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন মুখের ওপর ভরসা
প্রাথমিক স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন তরুণ ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায়, আফগান বোর্ড আগামী দিনের ক্রিকেটারদের যাচাই করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চূড়ান্ত দল গঠনের আগে তারা পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেবে।
আফগানিস্তানের এশিয়া কাপ ২০২৫ সূচি
৯ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান বনাম হংকং
১৬ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ
১৮ সেপ্টেম্বর: আফগানিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা
আফগানিস্তানের ২২ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড
অধিনায়ক: রশিদ খান
রহমানউল্লাহ গুরবাজ
সেদিকুল্লাহ অটল
ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল
ইব্রাহিম জাদরান
দারবিশ রাসুলি
মোহাম্মদ ইশাক
মোহাম্মদ নবি
নাংগিয়াল খারোটি
শরাফউদ্দিন আশরাফ
করিম জানাত
আজমাতুল্লাহ ওমরজাই
গুলবাদিন নাইব
মুজিব জাদরান
আল্লাহমোহাম্মদ গাজানফার
নূর আহমদ
ফজলহক ফারুকি
নাভিন-উল-হক
ফরিদ মালিক
সেলিম সাফি
আবদুল্লাহ আহমাদজাই
বশির আহমদ
উপসংহার
আফগানিস্তান দলের এই স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার চেয়ে তরুণ প্রতিভাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি সাহসী এক সিদ্ধান্ত হলেও, এর কার্যকারিতা মাঠেই প্রমাণিত হবে। রশিদ খানের অভিজ্ঞ নেতৃত্বে দল কীভাবে নিজেদের প্রস্তুত করে, তা দেখতে আগ্রহে থাকবে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ: জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ