ঢাকার সবুজবাগ এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে, যা ইতোমধ্যেই এলাকাজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালেও সে পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পাশের বাসার যুবক রিমন (১৯) কৌশলে শিশুটিকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে সে শিশুটিকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত যুবক তাকে বাড়ির গেটের সামনে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী বাসায় ফিরে পরিবারের কাছে সবকিছু খুলে বলে। বিষয়টি জানার পর শিশুটির পরিবার সবুজবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিমনকে আটক করে। পরবর্তীতে শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং ভুক্তভোগী শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সমাজে বার্তা
এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি পরিবারের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্যই ভয়াবহ ও লজ্জাজনক। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রতিটি অভিভাবক, প্রতিবেশী এবং সমাজের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, কোনোভাবেই এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।
উপসংহার
শিশুদের প্রতি সহিংসতা সমাজের জন্য এক বড় হুমকি। পরিবার ও বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগ ও অপরাধীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা জরুরি।