বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন, যারা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অহেতুক শঙ্কা ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের শত্রু। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, আর এ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্য হলো গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করা।
নির্বাচন নিয়ে ভিত্তিহীন আশঙ্কা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি
শনিবার (তারিখ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের আয়োজনে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমেদ এই বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যারা নির্বাচন নিয়ে ভিত্তিহীন শঙ্কা ও সংশয় তৈরি করছেন, তারা জনগণের প্রতিনিধি নন, বরং গণতন্ত্রের শত্রু। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা বা অস্থিতিশীল করে তোলা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করবে। কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ষড়যন্ত্র এই গণতান্ত্রিক চেতনাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।”
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান
সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা অতীতে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করেছি। আজও আমাদের এই ঐক্য প্রয়োজন, যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।”
তিনি সরকার ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সব পক্ষকেই সংলাপে বসতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
খালেদা জিয়ার সংগ্রাম ও দিকনির্দেশনা
অনুষ্ঠানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “তিনি আজীবন গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্ব ও ত্যাগ আমাদের প্রেরণা জোগায়। আমরা তার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।”
উপসংহার: গণতন্ত্র রক্ষায় সচেতনতা জরুরি
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হলে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র রোধ করতে হবে। জনগণকে সচেতন হয়ে ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক শক্তিকে জাতীয় স্বার্থে একত্রিত হতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
-
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন (সঞ্চালক)
-
সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব
-
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ