গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি স্বাধীন তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গাজীপুর র্যাব-১-এর কম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ মামুন খান চিশতী শনিবার (৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
কী ঘটেছিল?
গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা মসজিদ মার্কেট এলাকায় সাংবাদিক তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা জানান, একদল সন্ত্রাসী তাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করে। ঘটনার পর তুহিনকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন শুক্রবার তুহিনের বড় ভাই বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তি
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
-
কেটু মিজান
-
গোলাপী (কেটু মিজানের স্ত্রী)
-
স্বাধীন
-
আলামিন
-
শাহজালাল
-
ফয়সাল
-
সুমন
র্যাবের দাবি অনুযায়ী, স্বাধীন নামের একজন আসামি তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বক্তব্য অনুসারে, তুহিন একটি ছিনতাইয়ের ভিডিও ধারণ করায় তাকে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবি
এই হত্যাকাণ্ড সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সাংবাদিকরা সমাজের আয়না, এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তুহিনের পরিবার ও সহকর্মীরা দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
র্যাব ও পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
মন্তব্য করুন
আপনার কী মতামত? সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের বিচার কীভাবে নিশ্চিত করা যায়? নিচে কমেন্ট করে জানান।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন – যা জানা গেল
#সাংবাদিক_তুহিন #গাজীপুর #র্যাব #নিরাপত্তা #ন্যায়বিচার