ভারতে নিখোঁজ বাংলাদেশি এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার সন্দেহ
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের mysterious disappearance এবং সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে দুই দেশেই। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এরইমধ্যে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে, আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হতে পারে। তবে, তার মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত পটভূমি
এমপি আনোয়ারুল আজীম ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তিনি অবস্থান করছিলেন। ১৩ মে তিনি সেখানে পৌঁছান, কিন্তু এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। তার পরিবার ও সহযোগীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বিষয়টি জানান।
সিআইডি’র তদন্ত ও নতুন তথ্য
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি প্রধান অখিলেশ চতুর্বেদী একটি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তাদের হাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে যা নির্দেশ করে যে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হতে পারে। যদিও মরদেহ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবুও তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ফ্ল্যাটের মালিকানা ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি
তদন্তে উঠে এসেছে যে, কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবনী গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরের এক কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায়ের মালিকানাধীন। ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি, যিনি আনোয়ারুল আজীমের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তল্লাশি ও ফরেনসিক পরীক্ষা
সিআইডি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে এবং ফরেনসিক পরীক্ষা শুরু করেছে। তবে, রক্তের দাগ বা নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া গেছে কিনা তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যক্তি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের গতিবিধি এখনো অস্পষ্ট।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া
এমপি আনোয়ারুল আজীমের দুই মেয়ে রয়েছেন, যারা বর্তমানে পড়াশোনা করছেন। তারা সুষ্ঠু তদন্ত এবং বাবা হত্যার কঠোর বিচার দাবি করেছেন।
আরও যা জানা প্রয়োজন
-
আনোয়ারুল আজীমের শেষ দেখা মেলে ১৩ মে, নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে।
-
সিআইডি হত্যার প্রমাণ পেলেও দেহ উদ্ধার করতে পারেনি।
-
ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া আখতারুজ্জামান সম্পর্কে তদন্ত চলছে।
-
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিষয়টি কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় হতে পারে।
সামনের পদক্ষেপ
এই মামলার তদন্ত এখনো চলমান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফরেনসিক রিপোর্ট এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আরও তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে। বাংলাদেশ সরকারও বিষয়টি নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় হত্যা: বিএনপির অঙ্গসংগঠন থেকে ৪ নেতা বহিষ্কার
মন্তব্য:
এই ঘটনায় অনেক প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। আশা করা যায়, শিগগিরই সত্য উদঘাটিত হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত জানান:
আপনি কি মনে করেন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোন রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারণ থাকতে পারে? নিচে কমেন্ট করে জানান।