বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এই নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছে। এবারের সম্পূরক ভোটার তালিকায় প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে ভুল সংশোধন, নতুন নাম অন্তর্ভুক্তি ও মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে।
সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ ও বিবরণ
২০২৫ সালের ১০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন খসড়া সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে।
-
তালিকায় শুধুমাত্র নতুন ভোটারদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এই তালিকা নির্ধারিত স্থানে প্রদর্শন করবেন।
-
২০০৭ সালের ১ জুলাই বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী কিন্তু বাদ পড়া ভোটারদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
-
মৃত ভোটারদের নাম কর্তন করা হয়েছে এবং তা অফিসে প্রকাশিত তালিকায় উল্লেখ রয়েছে।
সংশোধন ও অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা
যাদের তথ্য ভুল আছে বা যাদের নাম ভোটার তালিকায় নেই, তারা নিম্নলিখিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন:
-
আবেদনের শেষ তারিখ: ২১ আগস্ট ২০২৫
-
আবেদন নিষ্পত্তির শেষ তারিখ: ২৪ আগস্ট ২০২৫
-
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫
বর্তমান ভোটার সংখ্যা
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়া যাদের বয়স ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের গুরুত্ব
সঠিক ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রক্রিয়ায়
-
যোগ্য ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
-
মৃত বা অযোগ্য ব্যক্তির নাম কর্তন করে অনিয়মের সম্ভাবনা কমানো হবে।
-
নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা বাড়বে।
শেষ কথা
নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ ভোটারদের জন্য একটি বড় সুযোগ। সময়সীমার মধ্যে তথ্য যাচাই, ভুল সংশোধন এবং অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনার ভোট নিশ্চিত করতে এখনই আপনার ভোটার তালিকার তথ্য যাচাই করুন।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট: আট দফা দাবিতে সড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি