ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, যিনি পীর সাহেব চরমোনাই নামেই অধিক পরিচিত, জাতীয় নির্বাচনে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই পদ্ধতি কার্যকর হলে ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন হবে, সংসদে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং ফ্যাসিস্ট ধরনের শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটবে।
পিআর পদ্ধতির সুফল নিয়ে পীর সাহেবের বক্তব্য
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) শরীয়তপুর জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ইসলামী যুব আন্দোলনের আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন—
“পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদ একটি ভারসাম্যপূর্ণ রূপ পাবে। দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে খুনিদের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে, এবং এ পর্যন্ত কোনো দেশ এই ব্যবস্থা বাতিল করেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক দেশ এই পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে, যা এর কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।
ইসলামী আন্দোলনের দৃষ্টিভঙ্গি
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, “দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে যুব সমাজকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুলতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক নেতৃত্ব এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।
যুব সমাবেশে উপস্থিত অতিথিরা
এই যুব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ তারেক জামিল এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আবরার।
প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন—
ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজিজুল হক
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ হাফেজ কেরামত আলী
ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও শরীয়তপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী এডভোকেট হামিদ মিয়া সরদার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর জেলা সভাপতি এস এম আহসান হাবিব
মুজাহিদ কমিটির জেলা সভাপতি মুফতি ফেরদৌস আহমেদ
ইসলামী যুব আন্দোলনের সাবেক সভাপতি ও শরীয়তপুর-২ আসনের এমপি প্রার্থী মুফতি ইমরান হোসাইন
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা হাফিজুর রহমান
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম ঢালীসহ আরও অনেকে।
আলোচনার মূল বিষয়
সমাবেশে বক্তারা শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, গণহত্যার বিচার, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং যুব সমাজকে নৈতিক ও ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে তারা শহীদ পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এ ধরনের রাজনৈতিক খবর সম্পর্কে আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশে কার্যকর হতে পারে?
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে সেনা মোতায়েন: নিরাপত্তায় তিন স্তরের ব্যবস্থা