ভুয়া কন্টেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার সাদিয়া আয়মান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর অপব্যবহার এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে শোবিজ জগতের নারীশিল্পীরা এআই জেনারেটেড ভুয়া ছবি ও ভিডিওর শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান সরব হয়ে এআই দিয়ে তৈরি করা মিথ্যা কন্টেন্ট সম্পর্কে ভক্তদের সতর্ক করেছেন।

“এগুলো সত্যি নয়, আল্লাহর দোহাই!”
সাদিয়া আয়মান সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে এআই দিয়ে তৈরি তার ভুয়া ছবি ও ভিডিও প্রচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন,
“কিছু পেজ আছে, যারা সেলিব্রিটিদের এআই দিয়ে এডিট করা ছবি বানিয়ে ছড়ায়। আমার ক্ষেত্রে তো তারা আরও বেশি উৎসাহী! হ্যাঁ, তারা হয়তো এটা থেকে আয় করে, এটাই তাদের রুজি-রুটির উপায়। কিন্তু এতে তাদের নিচু মানসিকতা ও সস্তা মনোভাবই ফুটে ওঠে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “২০২৫ সালেও মানুষ কিভাবে এখনো এআই চিনতে পারে না? তারা এসব ভুয়া কন্টেন্ট দেখে সত্যি ভাবে মন্তব্য করে, যা খুবই হতাশাজনক!”
সচেতনতার আহ্বান
সাদিয়া তার ভক্ত ও দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “ভাই-বোনেরা, সময় এসেছে সচেতন হওয়ার! এআই দিয়ে তৈরি ছবি বা ভিডিওকে কখনোই সত্যি ভেবে বিশ্বাস করবেন না, আল্লাহর দোহাই!”

তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন, “যদি কখনো এমন কোনো ভুয়া পোস্ট চোখে পড়ে, তাহলে অবশ্যই পেইজটি রিপোর্ট করুন এবং ব্লক করে দিন। আমি এই বিষয়টি সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের কাছে তুলে দেব, যাতে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।”
এআই-এর অপব্যবহার: একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা
এআই প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর অপব্যবহারও বেড়েছে। বিশেষ করে ডিপফেইক (Deepfake) এবং এআই ইমেজ জেনারেশন টুলস ব্যবহার করে অনেকেই সেলিব্রিটিদের নামে মিথ্যা কন্টেন্ট তৈরি করছে। এটি শুধু ব্যক্তিত্বের মানহানি নয়, বরং সাইবার অপরাধেরও একটি রূপ।
কীভাবে চিনবেন এআই জেনারেটেড কন্টেন্ট?
-
অস্বাভাবিক ফেস বা শরীরের গঠন (হাতের আঙুল, চোখের মণি অস্বস্তিকর দেখালে)
-
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে অসঙ্গতি (ব্লার বা বিকৃত অংশ থাকলে)
-
ভিডিওর অডিও-ভিজ্যুয়াল সিঙ্ক মিলছে না
-
অতিরিক্ত পারফেক্ট বা অস্বাভাবিক আলো-ছায়ার ব্যবহার
সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের ভূমিকা
সাদিয়া আয়মানের মতো অনেক সেলিব্রিটি এখন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সাইবার ক্রাইম এক্ট অনুযায়ী, এ ধরনের ভুয়া কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আপনিও সতর্ক থাকুন!
-
অনৈতিক কন্টেন্ট শেয়ার করবেন না।
-
সন্দেহজনক পেইজ রিপোর্ট করুন।
-
এআই জেনারেটেড কন্টেন্ট শনাক্ত করতে শিখুন।
শেষ কথা
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে প্রত্যেকেরই দায়িত্বশীল হতে হবে। সাদিয়া আয়মানের মতো তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করুন এবং ভুয়া কন্টেন্টের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। মনে রাখবেন, এআই-এর অপব্যবহার শুধু একটি ব্যক্তির ক্ষতি করে না, সমাজের নৈতিকতাকেও ধ্বংস করে।
“ভুয়া কন্টেন্টে কান দেবেন না, সত্যের পাশে দাঁড়ান!”
#সচেতনতা #এআই_অপব্যবহার #সাদিয়া_আয়মান #সাইবার_সিকিউরিটি
আরও পড়ুন: গুজবের আগুনে পুড়ছে সমাজ: নুসরাত ফারিয়ার বার্তা ও আমাদের সচেতনতা