এশিয়া কাপ ২০২৫ ক্রিকেট মাঠে এক অনন্য মুহূর্ত তৈরি করেছে আফগানিস্তানের অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা লেগ-স্পিনার রশিদ খান। বাংলাদেশি ওপেনার সাইফ হাসান যখন ব্যাটে সেট হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন রশিদ খান এক অসাধারণ গুগলি ডেলিভারি দিয়ে তাঁকে বোল্ড করেন। তবে শুধু উইকেটই নয়, রশিদের সেই ডেথ স্টেয়ার বা ভয়ঙ্কর দৃষ্টিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।
ম্যাচের চিত্র
বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান শুরুটা কিছুটা ধীরগতিতে করলেও পরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ান। মাত্র ৬ ওভারের মধ্যে তারা ৬৩ রানের জুটি গড়ে তোলে। ঠিক তখনই বল হাতে নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান।
প্রথম তিন বলে মাত্র চার রান দেন রশিদ। আর চতুর্থ বলেই এক দুর্দান্ত গুগলি দিয়ে সাইফ হাসানের অফ-স্টাম্প উড়িয়ে দেন। ২৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। কিন্তু তার থেকেও বেশি আলোচনায় এসেছে রশিদের শীতল দৃষ্টি—যা সাইফ হাসানের আউট হওয়ার পর কয়েক সেকেন্ড ধরে স্থির হয়ে থাকে।
টুইটারে প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর মুহূর্তেই টুইটার ভরে যায় মজার মিম, প্রতিক্রিয়া আর বিশ্লেষণে।
একজন লিখেছেন: “Look at that stare! এটা শুধু উইকেট না, এটা ভয় দেখানোর শিল্প।”
কেউ বলেছেন: “রশিদ খানকে দেখে মনে হয় তিনি শুধু উইকেটই নেন না, প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে ভেঙে দেন।”
আরেকজন মজা করে লিখেছেন: “rashid khan to Saif 👁️👁️👁️👁️😂😂”
সাইফ হাসানের সংগ্রাম
বাংলাদেশ দল শুরুতে পাওয়ারপ্লেতে রান তুললেও, সাইফ হাসানের আউট ম্যাচে গতি বদলে দেয়। অনেক ভক্ত মনে করছেন, তিনি রশিদের সুইং এবং ভ্যারিয়েশনের বিপরীতে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
কেন রশিদ খান এত বিশেষ?
ক্রিকেট দুনিয়ায় রশিদ খানকে বলা হয় “গেম চেঞ্জার”। তাঁর স্পিন ভ্যারিয়েশন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য সবসময় এক রহস্য। এশিয়া কাপ ২০২৫-এও তিনি প্রমাণ করলেন যে, আফগানিস্তানের সাফল্যের বড় ভরসা তিনিই।
উপসংহার
Asia Cup 2025-এ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে Saif Hassan VS Rashid Khan এর এই মুখোমুখি লড়াই ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উইকেট, প্রতিক্রিয়া এবং ডেথ স্টেয়ার সব মিলিয়ে ভক্তরা উপভোগ করেছেন এক রোমাঞ্চকর মুহূর্ত।
👉 ক্রিকেটপ্রেমীরা এখনই আলোচনায় মেতেছেন—সাইফ হাসান কি ভবিষ্যতে রশিদের মতো বিশ্বমানের স্পিনারদের বিপক্ষে টিকে থাকতে পারবেন?
আরও পড়ুন: নেপাল বনাম বাংলাদেশ প্রীতি ম্যাচ: গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হলো ৯০ মিনিটের লড়াই