হৃদয়বিদারক ঘটনা কুড়িগ্রামে
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ঘটে গেছে এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। সৎবাবার নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিল মাত্র ৬ বছরের শিশু তাসিন। সারাদিন মোটরসাইকেলে ঘুরিয়ে রাতের আঁধারে পুকুরে ফেলে চলে যায় তার সৎবাবা।
শিশুটি কে?
তাসিন (৬) লালমনিরহাট জেলার সখের বাজার এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে সে বড় ভাই বিপ্লবসহ মা ববিতা বেগমের কাছে থাকত। প্রায় ৬-৭ মাস আগে ববিতা বেগম বিয়ে করেন লালমনিরহাট সদরের সাপটানা এলাকার মুরাদ হোসেনকে। বিয়ের পর তাসিন মায়ের সঙ্গে মুরাদের বাড়িতে বসবাস শুরু করে।
ঘটনার দিন
শনিবার সকালে মুরাদ শিশুটিকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে বের হন। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘোরানোর পর রাত ৯টার দিকে শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের ছড়ারপাড় এলাকায় পৌঁছে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
অলৌকিকভাবে উদ্ধার
ঠিক সেই সময়ে এক পথচারী অটোরিকশার হেডলাইটের আলোতে শিশুটিকে পানিতে হাবুডুবু খেতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করেন। তিনি তাসিনকে নিরাপদে নিয়ে যান পাশের ফকিরপাড়া গ্রামের আজিবুর ইসলামের বাড়িতে।
পুলিশের তৎপরতা
খবর পেয়ে রাত প্রায় ১০টার দিকে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে। পরে লালমনিরহাট পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুরাদ হোসেনকে আটক করে। এসআই আব্দুর রহিম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শিশু নির্যাতন রোধে করণীয়
এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো সমাজের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিভাবক ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। পরিবারে নতুন সম্পর্ক তৈরি হলে শিশুর মানসিক অবস্থা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুয়া তথ্যের অভিযোগে এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে পারছেন না আনিসা